Followers

Monday, September 28, 2015

তোমরা অবশ্যই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে (সূরা আলফাত্হ: ২৭)


পবিত্র কাবা শরীফের বিভিন্ন জায়গার মধ্যে মারওয়া, মাস’আ এবং মাসজিদুল হারাম অন্যতম স্থান।
মসজিদুল হারামঃ-
কাবা শরীফ, তার চার পাশের মাতাফ, মাতাফের ওপারে বিল্ডিং, বিল্ডিঙের ওপারে মারবেল পাথর বিছানো উন্মুক্ত চত্বর সবগুলো মিলে বর্তমান মসজিদুল হারাম গঠিত। কারও কারও মতে পুরা হারাম অঞ্চল মসজিদুল হারাম হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কুরআনের এক আয়াতে এসেছে,

 لَتَدْخُلُنَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ
তোমরা অবশ্যই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করবে (সূরা আলফাত্হ: ২৭)
অর্থাৎ হারাম অঞ্চলে প্রবেশ করবে। সূরা ইসরায় মসজিদুল হারামের কথা উল্লেখ হয়েছে। 

এরশাদ হয়েছে
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ
পবিত্র সেই সত্তা যিনি তাঁর বান্দাকে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় রাতের বেলায় নিয়ে গেলেন, যার চার পাশ আমি করেছি বরকতময় (সূরা আল ইসরা:)
ইতিহাসবিদদের মতানুসারে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে উম্মে হানীর ঘরের এখান থেকে ইসরা মেরাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর তৎকালে কাবা শরীফের চারপাশে সামান্য এলাকা জুড়ে ছিল মসজিদুল হারাম, উম্মে হানীর ঘর মসজিদুল হারাম থেকে ছিল দূরে। তা সত্ত্বেও ওই জায়গাকে মসজিদুল হারাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে

মারওয়াঃ-
শক্ত সাদা পাথরের ছোট্ট একটি পাহাড়। পবিত্র কাবা থেকে ৩০০ মিটার দূরে পূর্ব- উত্তর দিকে অবস্থিত। বর্তমানে মারওয়া থেকে কাবা শরীফ দেখা যায় না। মারওয়ার সামান্য অংশ খোলা রাখা হয়েছে। বাকি অংশ পাকা করে ঢেকে দেয়া হয়েছে
 
মাসআঃ-
সাফা মারওয়ার মধ্যবর্তী স্থানকে মাস বলা হয়। মাস দীর্ঘে ৩৯৪. মিটার প্রস্থে ২০ মিটার। মাসআ গ্রাউন্ড ফ্লোর প্রথম তলা সুন্দরভাবে সাজানো। গ্রাউন্ড ফ্লোরে ভিড় হলে প্রথম তলায় গিয়েও সাঈ করতে পারেন। প্রয়োজন হলে ছাদে গিয়েও সাঈ করা যাবে তবে
খেয়াল রাখতে হবে আপনার সাঈ যেন মাসআ মধ্যেই হয়। মাসআ থেকে বাইরে দূরে কোথাও সাঈ করলে সাঈ হয় না



No comments:

Post a Comment

মৃত্যু আযাব হালকা হয়ে যাবে যে দোয়া পড়লে

আল্লাহ পাক বলছেন, আল কোরআনে বর্ণিত ছোট্ট এই দোয়াটি পড়লে মৃত্যু আযাব হালকা হয়ে যাবে। দোয়াটিকে আমরা সবাই ‘আয়াতুল করসি’ বলেই জানি। দ...