পবিত্র কাবার দক্ষিণ
কোণে, জমিন থেকে
১.১০ মিটার
উচ্চতায় হাজরে আসওয়াদ স্থাপিত। হাজরে
আসওয়াদ দৈর্ঘ্যে ২৫
সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ১৭
সেন্টিমিটার। শুরুতে হাজরে
আসওয়াদ একটুকরো ছিল,
কারামিতা সম্প্রদায় ৩১৯
হিজরীতে পাথরটি উঠিয়ে
নিজেদের অঞ্চলে নিয়ে
যায়। সেসময় পাথরটি
ভেঙে ৮ টুকরায় পরিণত
হয়। এ টুকরোগুলোর সবচেয়ে বড়োটি
খেজুরের মতো। টুকরোগুলো বর্তমানে অন্য
আরেকটি পাথরে প্রতিস্থাপন করা
হয়েছে যার চার
পাশে দেয়া হয়েছে
রুপার বর্ডার। রুপার
বর্ডারবিশিষ্ট
পাথরটি চুম্বন নয়
বরং তাতে স্থাপিত হাজরে
আসওয়াদের টুকরোগুলো চুম্বন
বা স্পর্শ করতে
পারলেই কেবল হাজরে
আসওয়াদ চুম্বন-স্পর্শ
করা হয়েছে বলে
ধরা হবে।
হাজরে
আসওয়াদ জান্নাত থেকে
নেমে-আসা একটি
পাথর (নাসায়ি: ৫/২২৬, আলাবানি এ
হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন:
সহিহু সুনানিন নাসায়ি:২৭৪৮)
যার রং শুরুতে—এক হাদিস
অনুযায়ী—দুধের বা
বরফের চেয়েও সাদা
ছিল। পরে আদম-সন্তানের পাপ
তাকে কালো করে
দেয় (তিরমিযি: হজ
অধ্যায়-৮৭৭, ইবনু
খুজায়মা: ৪/২৮২)।
হাজরে
আসওয়াদ স্পর্শ করলে
গুনাহ মাফ হয়
(নাসায়ি:৫/২২১;
আলাবানি এ হাদিসটিকে সহিহ
বলেছেন, নং ২৭৩২)। হাজরে আসওয়াদের একটি
জিহ্বা ও দুটি
ঠোঁট রয়েছে, যে
ব্যক্তি তাকে চুম্বন-স্পর্শ করল,
তার পক্ষে সে
কিয়ামতের দিন সাক্ষী
দেবে (আহমদ:১/২৬৬; আলবানি
এ হাদিসটিকে সহিহ
বলেছেন; দ্রঃ সহিহ
ইবনে মাযাহ, নং
২৩৮১)। তবে
হাজরে আসওয়াদ কেবলই
একটি পাথর যা
কারও কল্যাণ বা
অকল্যাণ কোনোটাই করতে
পারে না(সহীহ
বুখারীঃ ৩/১৫০২
ইঃফাঃ)।
No comments:
Post a Comment